Thursday, November 7, 2024
প্রধান পাতাবাংলাদেশদেশকে অস্থিতিশীল করতে দিল্লিতে বসে হাসিনার  ষড়যন্ত্র

দেশকে অস্থিতিশীল করতে দিল্লিতে বসে হাসিনার  ষড়যন্ত্র

রক্তক্ষয়ী জুলাইয়ের পর আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাসের সূচনা হয়েছে। তবে ভারতের অতীত তৎপরতা বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগজনক বার্তা দিচ্ছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ‘দা মিরর এশিয়া’ সম্প্রতি রিপোর্ট করেছে যে, বাংলাদেশে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’।

প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের প্রথম প্রকল্পের সময়সীমা ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এর উদ্দেশ্য হলো ড. ইউনুস সম্পর্কে গুজব ছড়ানো যে, ইসলামপন্থীরা তার ওপর ভর করেছে। এছাড়াও, আন্দোলনকারীদের হিযবুত তাহরীরের সাথে সম্পৃক্ততার প্রমাণ দেখিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, বিশেষ করে তরুণ বামপন্থী নেতাদের লক্ষ্য করে।

প্রতিবেদন আরও জানিয়েছে, ইতোমধ্যে মার্কিন বিরোধী তিনজন বামপন্থী সাবেক ছাত্র নেতার সাথে দিল্লিতে এক সাংবাদিক দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। ভারতের মূল লক্ষ্য হলো তরুণদের দল গঠনের সুযোগ বন্ধ রেখে বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল করা। এ জন্য ‘র’-এর একটি উপগ্রুপ বাংলাদেশে এই মিশন সম্পন্ন করার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।

এছাড়াও, ‘ভিক্টর টু’ নামে একটি সেল গঠন করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ সম্পর্কিত সর্বশেষ সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করছে। সেলের সদস্যরা ছাত্র নেতাদের ফেসবুক স্ট্যাটাস হিন্দি ও ইংরেজিতে অনুবাদ করে ‘ভিক্টর টু’-এর টেবিলে জমা দিচ্ছে।

‘মিরর এশিয়া’প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ১৬ জুলাই যখন হাসিনা সরকার শিক্ষার্থীদের গুলির নির্দেশ দেয়, তখন পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। পরে, শেখ হাসিনার বিশেষ অনুরোধে এবং ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সরাসরি তত্ত্বাবধানে, বাংলাদেশে ‘র’-এর প্রশিক্ষিত ৪০০ কর্মকর্তা ঢাকায় এসে কাশ্মীরি পদ্ধতিতে আন্দোলন দমন করে ২৮ জুলাই দিল্লিতে ফিরে যান।

৫ আগস্টের পর ১০ আগস্ট সংখ্যালঘুদের সমাবেশের আড়ালে একটি প্রতিবিপ্লবের পরিকল্পনা করা হয়, যা ব্যর্থ হলে ১৫ আগস্ট দ্বিতীয় পরিকল্পনা করা হয়, কিন্তু সেটিও সফল হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর সুরক্ষিত একটি ভবনে অবস্থান করছেন এবং বিভিন্ন উচ্চ-প্রোফাইল মিটিং করছেন। তার মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিয়মিত তার সাথে দেখা করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, শেখ হাসিনা ভারতে দীর্ঘ সময় অবস্থান করবেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ