খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহত, থানায় হামলা এবং পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।
নগরীর তিন থানায় হওয়া এই তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার জনকে। তবে কোনো মামলাতেই কারও নাম নেই। এসব মামলায় কেউ গ্রেফতারও হননি।
খুলনার পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক তিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন:
খুলনায় সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহত
তিনি জানান, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় লবণচরা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়া সংঘর্ষের সময় সন্ত্রাসীরা হরিণটানা থানায় আক্রমণ করে। এসময় ১০-১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় ওই থানায় মামলা হচ্ছে। পুলিশের একটি পিকআপ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সদর থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ কমিশনার আরও জানান, সব মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০০০-১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
খুলনা রণক্ষেত্র, আহত শতাধিক, গুলিবিদ্ধ অনেকে
হরিণটানা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, থানায় হামলা ও পুলিশ সদস্যরা আহত হওয়ার ঘটনায় ৫-৭ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে পৃথক একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশের পিকআপে আগুনের ঘটনায় ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে বলে জানান সদর থানা ওসি কামাল হোসেন খান।
আলমগীর হান্নান/এসআর/এএসএম