পবিত্র মাহে রমজান আত্মসংযম, ধৈর্য ও সংযমের মাস। এ মাসে রোজা রাখা শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং এটি আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও মানবিক মূল্যবোধের অনুশীলনের এক অনন্য সুযোগ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সঠিকভাবেই জানিয়েছেন, রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করতে হলে আমাদের হিংসা-বিদ্বেষ ও সংঘাত পরিহার করা উচিত।
আজকের সমাজে বিভেদ, বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসার অনেক উদাহরণ দেখা যায়। অথচ রমজান আমাদের শিক্ষা দেয় কীভাবে সংযমী ও পরিমিত জীবনযাপন করতে হয়। এটি ধনী-গরিবের মাঝে সাম্য ও সহমর্মিতার বীজ বপন করে। শুধু রোজা রাখাই যথেষ্ট নয় আমাদের উচিত বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত, ইবাদত-বন্দেগি করা এবং দানের মাধ্যমে অভাবীদের পাশে দাঁড়ানো।
রমজানের প্রকৃত শিক্ষা হলো আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গঠন। যদি আমরা সত্যিকার অর্থে রমজানের বার্তা হৃদয়ে ধারণ করি তবে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আসুন আমরা রমজানের শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে একটি সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তুলি। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে রমজানের শিক্ষা যথাযথভাবে পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।