সোহেল আরমান, বাংলাদেশের টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা, নাট্যকার, গীতিকার ও নির্দেশক। বাংলাদেশ টেলিভিশনে একসময় দর্শক যাদের অভিনীত নাটক দেখে মুগ্ধ হতেন—তাদের মধ্যে সোহেল আরমান অন্যতম একজন। তবে অভিনয়ের চেয়ে নির্মাণে প্রবল আগ্রহ ছিল তার। যে কারণে আজ থেকে দশ বছরের বেশি সময় আগে তিনি অভিনয় ছেড়ে দিয়েই নির্মাণে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠেন। তবে এ সময়কালে তিনি টুকটাক কিছু নাটকে বিশেষ অনুরোধে বিশেষ বিশেষ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এবার সোহেল আরমান দীর্ঘ দেড় যুগ পর বিটিভির নাটকে অভিনয়ে ফিরেছেন। তাও আবার নিজেরই নির্দেশিত নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। বিটিভিতে প্রচারের জন্য এরই মধ্যে সোহেল আরমান তার নিজের রচনায় নির্মাণ করেছেন ‘জল জোছনা’ নামের ধারাবাহিক নাটক। এ নাটকে তিনি রুদ্র হয়ে ফিরছেন দর্শকের মাঝে। তার বিপরীতে এ নাটকে দেখা যাবে শানারেই দেবী শানুকে।
দীর্ঘদিন পর বিটিভির জন্য নাটক নির্মাণ এবং অভিনয় প্রসঙ্গে সোহেল আরমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর বিটিভির নাটক যখন নির্মাণ করতে যাই, তখন ভীষণ আবেগময় মুহূর্তের মুখোমুখি হয়েছি। বিটিভির যারা পুরোনো স্টাফ আছেন, যারা আমার আব্বাকে ভীষণ সম্মান করতেন, আমাকেও অনেক স্নেহ করতেন, তারাই আমাকে বারবার অভিনয় করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। তাদের কথা শুনে চোখে পানি চলে এসেছিল। আমি তাদের কথা দিয়েছিলাম, অভিনয় করব। অবশেষে রুদ্র রূপে ফিরছি বিটিভির নাটকে। সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় হলো, যখন আমি ক্যামেরার সামনে অভিনয় করছিলাম তখন পুরো ইউনিটে ছিল পিনপতন নীরবতা। সবার স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে। আমার দৃঢ় মনোবল যে, পারিবারিক গল্পের এ নাটক দর্শকের মাঝে সাড়া ফেলবে।’
শানারেই দেবী শানু বলেন, ‘সোহেল আরমান ভাই অত্যন্ত গুণী একজন নির্মাতা। সহশিল্পী হিসেবেও তিনি ভীষণ প্রাণোঞ্জল একজন মানুষ। তার নির্দেশনায় আজ থেকে সাত থেকে আট বছর আগে এনটিভির জলরং নাটকে অভিনয় করেছিলাম। দীর্ঘদিন পর তার নির্দেশনায় তারই বিপরীতে অভিনয় করে ভীষণ ভালো লেগেছে। জল জোছনার গল্পটা মানুষের মাঝে সাড়া ফেলবে। আমি খুব আশাবাদী।’
এদিকে এরই মধ্যে সোহেল আরমান নির্দেশিত বিটিভিতে প্রচারিত ‘রূপ না মন’ ও ‘জল পরী’ নাটক দর্শক সমাদৃত হয়েছে। এদিকে এবার ‘আনন্দ আলো সাহিত্য সম্মাননা’য় শানু ‘বাঘ মানুষ’ উপন্যাসের জন্য সাহিত্য সম্মাননায় ভূষিত হতে যাচ্ছেন।