Sunday, December 22, 2024
প্রধান পাতাবাংলাদেশড. ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতিতে’ অস্বস্তিতে ভারত

ড. ইউনূসের ‘মেগাফোন কূটনীতিতে’ অস্বস্তিতে ভারত

ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। এরপর থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক তিক্ত অবস্থায় রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে অস্বস্তিও। এমন পরিস্থিতিতে, প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকার ভারতকে অবাক ও বিচলিত করেছে।
ডঃ ইউনূসের সাক্ষাৎকারের বিষয়ে মোদি সরকার কেন বিচলিত, তা বিশ্লেষণ করেছেন শেখ ফরিদ। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতপন্থী হিসেবে দেখা হয়, কারণ তার ১৫ বছরের শাসনামলে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ মজবুত ছিল। এমনকি নিরাপত্তা ক্ষেত্রেও নয়া দিল্লি সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে, কারণ হাসিনা ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে কঠোর হাতে দমন করেছিলেন এবং সীমান্তের কিছু অমীমাংসিত বিষয় নিষ্পত্তি করেছিলেন।
শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর ভারত ও বাংলাদেশের গভীর সম্পর্কের মধ্যে জটিলতা দেখা দিয়েছে, যা ডঃ ইউনূসের সাম্প্রতিক মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে।
গত সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডঃ ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনা যদি দেশে না ফেরেন, তবে ভারতে অবস্থানকালে তাকে নীরব থাকতে হবে। পাশাপাশি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও বাড়ছে।
ডঃ ইউনূসের মতে, ঢাকা ও নয়া দিল্লির একসঙ্গে কাজ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখা উচিত, যদিও বর্তমানে এ সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছেছে। তার মন্তব্যের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও, হতাশা প্রকাশ করেছে। ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, ভারত বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে এবং সম্পর্কের উন্নতির জন্য অপেক্ষা করছে।
তাছাড়া, ডঃ ইউনূসের এই মন্তব্যকে নথিভুক্ত করেছে নয়া দিল্লি। সাবেক ভারতীয় কূটনীতিকরা তার কূটনীতিকে “মেগাফোন কূটনীতি” হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যেখানে মিডিয়ার মাধ্যমে বিতর্কিত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডঃ ইউনূসের সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, “ভারতীয় নেতারাও কি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেন না? ডঃ ইউনূসকে যদি নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তাহলে তিনি অবশ্যই তার মতামত প্রকাশ করতে পারেন।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ