সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, ডাকাতি করতে গিয়ে ফিল্মি স্টাইলে বিল্ডিং টপকানোর সময় গণধোলাইয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। তবে, অনুসন্ধানে এই দাবিটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
ভিডিওটির প্রকৃত উৎস
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ভিডিওটি বাংলাদেশের কোনো ঘটনার নয় বরং এটি ইন্দোনেশিয়ার কামালি সমুদ্র সৈকত এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার ভিডিও। ভিডিওটি প্রথমে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার ‘Tribun Tangerang’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়, যেখানে বলা হয় ঘটনাটি ১৭ ফেব্রুয়ারি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ পূর্ব সুলাওয়েসি (সুলত্রা) প্রদেশের বাউবাউ শহরের কামালি সমুদ্র সৈকত এলাকায় ঘটেছে।
ভিডিওতে দেখা ঘটনা
ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি হোটেলের বারান্দায় দৌড়াচ্ছিলেন এবং পরে শুধুমাত্র আন্ডারওয়্যার পরে বৈদ্যুতিক তারের ওপর লাফ দেন। এরপর তিনি তারে কিছুক্ষণ ঝুলে থাকার পর পাশের বিল্ডিংয়ে লাফ দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেখানে আটকে যান। পরে আরও দূরের একটি বিল্ডিংয়ে লাফ দিতে গিয়ে নিচে পড়ে যান।
পুলিশের বক্তব্য
বাউবাউ পুলিশ প্রধানের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেপি আব্দুল রহমত জানিয়েছেন, ভিডিওতে দেখা ব্যক্তিটি সম্ভবত হতাশায় ভুগছিলেন এবং এটি কোনো ডাকাতির ঘটনা নয়। ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যম ‘Tribunnews Sultra Official’ এবং ‘ডেটিকডটকম’-এও একই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
ভুল তথ্য ছড়ানোর প্রভাব
ভিন্ন দেশের একটি ভিডিও ভুলভাবে ব্যাখ্যা করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। এটি গুজব ও ভুল তথ্য ছড়ানোর উদাহরণ, যা জনসচেতনতা বাড়িয়ে প্রতিহত করা দরকার।
সিদ্ধান্ত
ফ্যাক্টচেক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ডাকাতি করতে গিয়ে গণধোলাইয়ে মৃত্যুর দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ইন্দোনেশিয়ার একটি আলাদা ঘটনার ভিডিওকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। তাই, সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।