Sunday, December 22, 2024
প্রধান পাতাআন্তর্জাতিকভারতে কৃষকদের দুর্দশা: বাংলাদেশের আমদানি বন্ধে সংকটে ভারতীয় কৃষকেরা

ভারতে কৃষকদের দুর্দশা: বাংলাদেশের আমদানি বন্ধে সংকটে ভারতীয় কৃষকেরা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্রসহ বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। কৃষকদের অভিযোগ, সম্প্রতি ভারতীয় সরকার ২ ডিসেম্বর থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ এবং আলুর রপ্তানি বন্ধ করে দেয়, যা তাদের আর্থিক অবস্থাকে আরো সংকটময় করে তুলেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজের মূল্য মাত্র আড়াই থেকে ৩ টাকা প্রতি কেজি হয়ে গেছে, যা কৃষকদের উৎপাদন খরচও তুলতে সহায়ক নয়। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কৃষকরা রাস্তায় নেমে পেঁয়াজ ও আলু ফেলে বিক্ষোভ করছেন। কৃষকদের দাবি, কিছু মিডিয়া, বিশেষত রিপাবলিক বাংলা টিভির সাংবাদিক ময়ূর রঞ্জন, বাংলাদেশের কৃষক সম্পর্কে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছেন। তাদের মতে, ময়ূর রঞ্জন ও তার মত সাংবাদিকদের অপপ্রচার ভারত-বাংলাদেশ ব্যবসায়িক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যার ফলে রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, তারা পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করতে একক উৎস ভারতের উপর নির্ভর না করে বিকল্প উৎস খুঁজছে। পাকিস্তান এবং চীন থেকে পণ্য আমদানি শুরু করেছে বাংলাদেশ, যার ফলে বাংলাদেশে খাদ্য বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের এ সিদ্ধান্তে দেশটির বাজারে কোনো ধরনের সংকট দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাংলাদেশে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের গ্রামীণ অর্থনীতি ইতিমধ্যেই সংকটে রয়েছে, আর এসব অপপ্রচারের কারণে কৃষকদের হতাশা এবং আর্থিক চাপ আরও বেড়েছে। অনেক কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে না পেরে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কিছু সংবাদমাধ্যমের অপপ্রচার এবং সরকারের নীতিগত ব্যর্থতার কারণে কৃষকরা হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন, যার ফলস্বরূপ আত্মহত্যার ঘটনা বেড়েছে। কৃষক নেতারা অভিযোগ করছেন, সাংবাদিক ময়ূর রঞ্জন তাদের পণ্য বিক্রির বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। তারা দাবি করছেন, ময়ূর রঞ্জন এবং কিছু মিডিয়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ভারতীয় কৃষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ভারতের কৃষকদের জন্য এই সংকট আরও গভীর হতে পারে, যদি সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ