বগুড়ায় ডিপ ফ্রিজ থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় নতুন তথ্য, তিনজনের বিরুদ্ধে স্বীকারোক্তি
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার এক গৃহবধূর ডিপ ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের ঘটনায় নতুন মোড় নিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছেন, যাদের নাম যথাক্রমে সুমন চন্দ্র রায়, মাফিয়া, এবং মুসলিম।
প্রথমে সন্দেহভাজন ছিল নিহতের ছোট ছেলে
প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল যে, এই হত্যাকাণ্ডে নিহত গৃহবধূ উন্মেষ সালমার ছোট ছেলে আজিজুর রহমান জড়িত থাকতে পারে। তবে দুদিনের গভীর তদন্তের পর পুলিশ এই ধারণা থেকে সরে আসে এবং ঘটনায় অন্য দিকগুলো খতিয়ে দেখতে শুরু করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ তদন্ত শেষে অভিযুক্ত তিনজনের স্বীকারোক্তি পাওয়া গেছে।
তদন্তে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
অভিযুক্তরা স্বীকার করেছে, পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সাথে জড়িত সুমন, মাফিয়া, এবং মুসলিম—এই তিনজন মিলে সালমাকে হত্যা করে। তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হত্যাকাণ্ডের পরে ডিপ ফ্রিজে মরদেহ লুকিয়ে রাখে।
অস্ত্র ও আলামত উদ্ধার
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, পুলিশ ঘটনার সাথে সম্পর্কিত বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কিছু ধারালো অস্ত্র, একটি চুরি হওয়া রাউটার, এবং সালমার মোবাইল ফোন।
অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের সালমার বাড়ির সামনে নিয়ে এসে স্থানীয়দের সামনে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্ত এখনো চলমান এবং হত্যার মোটিভসহ অন্য সম্ভাব্য তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের তৎপরতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তবে তারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুরো ঘটনা আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং শিগগিরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।