বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে পদক জয়ের পর যে কারও মধ্যে আবেগ কাজ করার কথা। সেটা যদি হয় মাত্র ১২ বছর বয়সে—আবেগ তো মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা। চীনের ইউ জিদির ক্ষেত্রে হয়েছে তাই।
সিঙ্গাপুরে চলমান বিশ্ব অ্যাকুয়াটিকস চ্যাম্পিয়নশিপের ৪ গুণিতক ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইল রিলে ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছে চীন। দেশটির রিলে দলের অন্যতম সদস্য ইউ জিদি পদক জয়ের মাধ্যমে গড়েছে বিশ্বরেকর্ড। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে পদকজয়ী সর্বকনিষ্ঠ সাঁতারু এখন ইউ জিদি। চীনকে টপকে এ ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, রৌপ্য জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র। রেকর্ড আরও আগে হতে পারত, কিন্তু নারীদের ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে ইউ জিদি চতুর্থ হওয়ায় সুযোগ হাত ফসকে গেছে।
বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর এ শিশু বলছিল, ‘খুবই আবেগঘন লাগছে, এটা একটা দারুণ অনুভূতি।’
রেকর্ড গড়া এ সাঁতারুর খেলাটিতে আসার প্রক্রিয়া ছিল অদ্ভুত! চীনে তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার উপায় হিসেবে দীর্ঘ সময় পানিতে কাটাত অক্টোবরে ১৩ বছরে পা দিতে যাওয়া ইউ জিদি। ছয় বছর বয়স থেকে এটা করা শুরু। পানিতে থাকতে থাকতে সাঁতারে পটু হয়ে ওঠা ইউ জিদি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছে, যাকে ঐতিহাসিকভাবে ডেনমার্কের ইঙ্গে সোরেনসেনের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে, যিনি ১৯৩৬ সালের বার্লিন গেমসে ১২ বছর বয়সে অলিম্পিক সাঁতারে ব্রোঞ্জ জিতে সর্বকনিষ্ঠ অলিম্পিক পদক জয়ীর রেকর্ড গড়েছিলেন।
খেলাধুলার কিছু ব্যক্তি স্বল্প বয়সেই বিশ্বসেরা আসরে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে আসার পথে প্রশিক্ষণ এবং প্রতিযোগিতার মানসিকতা গড়ে তোলার কারণে শারীরিক প্রভাব সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। কারণ মানুষ হিসেবে তারা এখনো পরিণত নয়। বর্তমান বিশ্ব অ্যাকুয়াটিকসের নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের ন্যূনতম বয়স ১৪ বছর। ইউ জিদির মতো কম বয়সী সাঁতারুরা যদি যথেষ্ট দ্রুত হয়, তবে চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।
আসরে সামার ম্যাকিনটোশ এবং কেটি লেডেকি ঐতিহাসিক লড়াইয়ের মঞ্চ তৈরি করেছেন। দুই তারকা ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ফাইনালে মুখোমুখি হবেন। ২৮ বছর বয়সী আমেরিকান গ্রেট লেডেকি এ ইভেন্টে চারটি অলিম্পিকে শিরোপা জিতেছেন এবং মে মাসে নিজের বিশ্ব রেকর্ড আরও উন্নত করেছেন। কিন্তু লেডেকির থেকে ১০ বছরের ছোট ম্যাকিনটোশ মুকুট ছিনিয়ে নেওয়ার মেজাজে আছেন।