রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হৃদয়বিদারকভাবে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ নিহত শিশু নাফি (৯) রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে জাতীয় বার্ণ অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ছোট্ট নাফি। এ নিয়ে জাতির হৃদয়ে আরেকটি গভীর ক্ষতের দাগ রেখে গেল ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা।
নাফির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ণ ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, “শিশুটির শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশই দগ্ধ ছিল। প্রচণ্ড দাহ এবং অভ্যন্তরীণ জটিলতায় তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন ছিল। সব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”
এর আগে দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৩১ জন। পরে রাতে নাফির মৃত্যুর পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩২ জনে।
আইএসপিআরের সর্বশেষ তথ্যমতে, এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১৬৫ জন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উল্লেখ্য, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় মাইলস্টোন স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক আগুন ছড়িয়ে পড়ে। স্কুলে চলমান ছিল ক্লাস, এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই রূপ নেয় বিভীষিকায়।
দেশবাসী এই ঘটনায় শোকাহত। ছোট্ট নাফির করুণ মৃত্যু শুধু পরিবারের নয়, পুরো জাতির হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।