Friday, August 1, 2025
প্রধান পাতাবিনোদন‘আমি বলি নাই, বাসা ভাড়া দিতে পারছি না, সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে’

‘আমি বলি নাই, বাসা ভাড়া দিতে পারছি না, সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে’

সম্প্রতি ছোট পর্দার অভিনেত্রী শিখা খান মৌ ক্ষোভ প্রকাশ করে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ২৫ বছর ধরে মিডিয়াতে কাজ করলেও পারিশ্রমিক সেভাবে বাড়েনি। এমনকি বর্তমানে কাজের পরিমাণও কমে এসেছে তার। 

বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনার সৃষ্টি হলে নতুন এক স্ট্যাটাসে এই অভিনেত্রী জানালেন, তার সেই স্ট্যাটাস নিয়ে অনেকেই নানা মনগড়া তথ্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। যাতে করে তিনি সামাজিকভাবে হেয় হচ্ছেন। 

এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বলছি- আমি কিছুদিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম আগের তুলনায় আমাদের কাজ কম হচ্ছে এই আফসোস নিয়ে। অথচ কিছু কিছু ইউটিউবার, ব্লগার আমার এই পোস্টটাকে নিজেদের মতো করে বিভিন্ন নাটক থেকে দুঃখী দুঃখী চেহারার ছবি নিয়ে নানানভাবে ভিডিও করে ছেড়ে দিচ্ছে! আমি কখনোই বলি নাই আমি বাসা ভাড়া দিতে পারছি না, সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে, তাহলে এইসবের মানে কি?’ 

শিখা লিখেছেন, ‘এখানে বলা হয়েছে যে আমরা যারা রেগুলার কাজ করতাম তারা কাজ ছাড়া সময় কাটাতে কষ্ট হচ্ছে। তাই যেন একটু খেয়াল করা হয় যাতে আমরা আগের মত কাজ করতে পারি। এইসব না বলে আমাদের স্ট্যাটাসকে নানাভাবে নিজেদের মতো করে তারা ব্যবসা করছে। এরকমভাবে ভিডিও বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে যা খুবই বিরক্তিকর ও কষ্টদায়ক। তাই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি- এইসব ফাইজলামির একটা সীমা আছে।’

কয়েকদিন আগে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী লেখেনে, ‘আমি মৌ শিখা। অনেক বছর থেকে অভিনয় করে আসছি। এতদিন নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবেই জানতাম, কিন্তু গত আড়াই মাস ধরে নিজেকে অভিনেত্রী ভাবতে লজ্জা হচ্ছে। আগে যেখানে মাসে ১৫ থেকে ২০ দিন কাজ করতাম সেখানে আড়াই মাস যাবত মাসে চার থেকে পাঁচ দিন কাজ করছি। তাহলে কিভাবে মনে হবে আমি অভিনয় শিল্পী? অভিনয় করেই আমার সংসার চলে।’

শিখা আরও লিখেছেন, ‘তবে আমি জানি, বেঁচে থাকতে আমার মূল্যায়ন করা না হলেও আমার মৃত্যুর পর কিছু মানুষ হলেও আমাকে মনে রাখবে। হয়তো বলবে- আহারে মহিলাটা কত ভালো ছিল, কত সহজ সরল ছিল, কারও সাত-পাচে ছিল না, কারও সামনে পিছনে ছিল না, আহারে মহিলাটার আত্মার শান্তি পাক। কিন্তু তাতে কি লাভ হবে আমার? বেঁচে থাকতে তো দরকার আমার কাজের। বেঁচে থাকতেই দেখে যেতে চাই আমার মূল্যায়ন হচ্ছে। কিন্তু সেটা কি আদৌ দেখে যেতে পারব? আমি জানি না।’

একবুক অভিমান নিয়ে শিখা লিখেছেন, ‘আমার অনুরোধ আমি মরে গেলে দয়া করে কেউ আফসোস করবেন না। আমাকে মনে করারও কোন দরকার নেই। হঠাৎ করে কেন কাজ কমে গেল, ডিরেক্টররা ডাকছেন না কেন, মনে করছেন না কেন তাদের গল্পের চরিত্রের সাথে আমি নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারব? আমি তো আমার রেমুনারেশন বাড়াইনি। ২৫ বছর যাবত মিডিয়ায় আছি, এখনো গেন একই রেমুনারেশন নিয়ে কাজ করছি। যাইহোক যে কটা দিন বাঁচি, কাজ করে যেতে চাই। আপনারা ব্যাপারটা দেখবেন, আমার সহকর্মী যারা আছেন তারা আমার ব্যাপারটা দেখে একটু সাহায্য করবেন। একটা শিল্পীর জন্য হঠাৎ করে কাজ কমে যাওয়া কম কিছু না আপনারা পাশে থেকে আমাকে সাহায্য করবেন আল্লাহ সহায় আছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ