২৪ জুন, মঙ্গলবার: যুদ্ধবিরতির ঠিক আগমুহূর্তে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েলে অন্তত চারজন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম (MDA)। এ ঘটনায় ঘরবাড়ি ও যানবাহনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে MDA-এর বরাতে জানায়, সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় এই হামলা চালানো হয়, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল।
যুদ্ধবিরতির সময়সীমা ও শর্ত:
মার্কিন সময় অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ঘোষণা দেন।
ইরান: মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় (GMT) সকাল ৪টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু করে
ইসরায়েল: স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় (GMT ১৬:০০) যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল
এই অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টা অতিক্রমের পর যুদ্ধবিরতিকে সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হিসেবে ধরা হবে
বাস্তবতা ভিন্ন:
কিন্তু এই সময়সীমার আগেই ইরান দক্ষিণ ইসরায়েলের উদ্দেশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। হামলার পরপরই ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সতর্কতা জারি এবং উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি সেবা ও চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে।
যুদ্ধবিরতির অনিশ্চয়তা:
যদিও ট্রাম্পের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে, ইরান ও ইসরায়েল—কারোরই পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। এই হামলার পর যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়েও নতুন করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং যুদ্ধবিরতির বাস্তব রূপ নেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।