Sunday, August 24, 2025
প্রধান পাতাআন্তর্জাতিকদূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে ইউক্রেনকে বাধা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে দূরপাল্লার আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেমস (এটিএসিএমএস) ব্যবহার করতে পারছে না ইউক্রেন। কারণ, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) গোপনে এ অস্ত্র ব্যবহারে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে মস্কোর বিরুদ্ধে কিয়েভের আক্রমণ চালানোর সক্ষমতা সীমিত হয়ে যাচ্ছে। খবর মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন একদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তি আলোচনায় টানার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে পেন্টাগনের অনুমোদন প্রক্রিয়া ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছে। দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের হাতে।

সম্প্রতি আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি ইউরোপীয় নেতাদের ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এসব বৈঠক কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি আনতে পারেনি। এরপর ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা কিংবা শুল্ক আরোপের কথা বিবেচনা করছে।

এদিকে, ট্রাম্প একাধিকবার পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি বৈঠকের উদ্যোগ নিলেও এখনো কোনো ফল পাওয়া যায়নি। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এনবিসিকে বলেন, বৈঠকের জন্য কোনো এজেন্ডা এখনো প্রস্তুত হয়নি।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আরও জানায়, পেন্টাগনের নীতিনির্ধারক এলব্রিজ কোলবি একটি বিশেষ “রিভিউ মেকানিজম” চালু করেছেন। এর মাধ্যমে ইউক্রেনের প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের অনুরোধ যাচাই-বাছাই করা হয়। শুধু মার্কিন অস্ত্রই নয়, ইউরোপীয় সেই সব অস্ত্র ব্যবস্থাও এর আওতায় রাখা হয়েছে যেগুলো মার্কিন প্রযুক্তি বা গোয়েন্দা তথ্যের ওপর নির্ভরশীল।

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, কেবল প্রতিরক্ষায় থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয় পাবে না। তিনি বলেন, “আক্রমণ ছাড়া যুদ্ধ জেতা খুবই কঠিন, প্রায় অসম্ভব। জয় সম্ভব নয়।”

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন, ট্রাম্পের মন্তব্যে নীতিগত কোনো পরিবর্তন আসেনি এবং পেন্টাগনের সীমিতকরণ ব্যবস্থা এখনো কার্যকর রয়েছে। যদিও হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন, চাইলে ট্রাম্প যে কোনো সময় সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন এবং ইউক্রেনকে আরও বড় ধরনের আক্রমণ চালানোর অনুমতি দিতে পারেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ