বাংলা চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজ করে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা দম্পতি অনন্ত জলিল ও বর্ষা এবার জানালেন, তারা ধীরে ধীরে সিনেমা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন।
কয়েক মাস আগে নায়িকা বর্ষা জানিয়েছিলেন, হাতে থাকা দু-তিনটি কাজ শেষ করেই তিনি চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নেবেন। তার ভাষায়, ‘আমার দুই সন্তান বড় হচ্ছে। তারা যদি দেখে মা সিনেমার নায়িকা, তখন কী ভাববে? এসব ভেবেই সিনেমা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বর্ষার পর এবার স্বামী অনন্ত জলিলও একই ঘোষণা দিলেন। শনিবার রাতে একটি টকশোতে তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই ছেলে। বড় ছেলে এরই মধ্যে কোরআনের হাফেজ হয়েছে, ছোট ছেলেও কোরআন রিডিং শেষ করেছে। একজনের বয়স ১০, আরেকজনের সাড়ে ৭। বর্ষা যখন প্রথম অন্তঃসত্ত্বা হয়, তখন থেকেই আমাদের নিয়ত ছিল সন্তানদের ইসলামী শিক্ষায় বড় করব, ইনশাআল্লাহ মদিনায় পড়াশোনা করাব। সে জায়গা থেকে আমাদের জন্য সিনেমা করা ঠিক হবে না।’
তিনি আরও জানান, সন্তানদের শিক্ষা ও বেড়ে ওঠা ইসলামিক ধ্যানধারণার মধ্যে হচ্ছে। তাই বাবা-মায়ের চলচ্চিত্রে সক্রিয় থাকা তাদের জন্য ইতিবাচক হবে না।
২০১০ সাল থেকে নিজ প্রযোজনায় আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করেন অনন্ত জলিল। প্রায় প্রতিটি ছবিতেই তার নায়িকা ছিলেন স্ত্রী বর্ষা। দেশীয় প্রযোজনার পাশাপাশি তিনি তুরস্ক ও আফগানিস্তানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনাতেও কাজ করেছেন।
বর্তমানে অনন্ত-বর্ষা অভিনীত ‘দ্য স্পাই’ ও ‘নেত্রী: দ্য লিডার’ নির্মাণাধীন রয়েছে, যেখানে বলিউডের নামি অভিনেতারাও যুক্ত আছেন। তবে এ দম্পতির ভাষায়, হাতে থাকা অসমাপ্ত প্রকল্পগুলো শেষ করার পরই তারা স্থায়ীভাবে সিনেমা থেকে সরে দাঁড়াবেন।
অনন্ত জলিল বলেন, ‘আমাদের কয়েকটা কাজ প্রায় শেষের দিকে। সেগুলো শেষ করেই হয়তো বিরতি নেব। করোনার ধাক্কা আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ব্যবসায় বেশি মনোযোগ দিতে হচ্ছে। নইলে কর্মসংস্থানের জায়গাটা ধ্বংস হয়ে যাবে।’
এই জুটিকে সবশেষ দেখা গেছে পরিচালক মোহাম্মদ ইকবালের ‘কিল হিম’ সিনেমায়। এরপর বড় পর্দায় আর দেখা যায়নি তাদের।