Monday, August 25, 2025
প্রধান পাতাআন্তর্জাতিকযুদ্ধের পর প্রথম ভাষণে যা বললেন খামেনি

যুদ্ধের পর প্রথম ভাষণে যা বললেন খামেনি

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি জানিয়েছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এই যুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, “ইহুদিবাদী সরকার পরাজিত হয়েছে এবং ইরানের ধাক্কায় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে।”

খামেনি বলেন, “আমি ইহুদিবাদীদের বিরুদ্ধে এই বিজয়ের জন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। অনেক উচ্চবাচ্য করেও ইহুদিবাদীরা আমাদের ধাক্কায় পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “এই যুদ্ধে মার্কিন সরকার সরাসরি জড়িত ছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল, যদি হস্তক্ষেপ না করে, তবে ইহুদিবাদীদের পতন অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এই আগ্রাসন কোনো ফল বয়ে আনেনি।”

আয়াতুল্লাহ খামেনি জোর দিয়ে বলেন, “এই যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে ইরান। যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয় পাওয়ায় আমি পুরো জাতিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

ইরানি জনগণের ঐক্যের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “৯ কোটি জনগণের দেশ ইরান একসাথে দাঁড়িয়েছিল। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর পাশে থেকে ইরানিরা প্রমাণ করেছে যে, যখন প্রয়োজন হয়, তারা জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ হয়।”

তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, “ইরানের বিরুদ্ধে যদি কেউ আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করে, তাহলে চড়া মূল্য দিতে হবে। ইহুদিবাদীরা কখনও কল্পনাও করেনি যে তারা আমাদের কাছ থেকে এমন ধাক্কা খাবে।”

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক সাফল্য উল্লেখ করে খামেনি বলেন, “আমাদের বাহিনী শত্রুদের বহুস্তর বিশিষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে তাদের প্রাণকেন্দ্রে আঘাত হেনেছে।”

ভাষণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও সমালোচনা করেন খামেনি। তিনি বলেন, “ট্রাম্প বলেছেন, ইরান আত্মসমর্পণ না করলে যুক্তরাষ্ট্র শান্ত হবে না। কিন্তু আমরা আত্মসমর্পণ করব না। আমরা একটি শক্তিশালী ও সম্মানিত জাতি। আমরা মার্কিনিদের মুখে চপেটাঘাত করেছি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের সভ্যতা ইতিহাসের একটি গৌরবময় অধ্যায়। আমাদের জনগণ বিজয়ী এবং বিজয়ী থাকবে ইনশাআল্লাহ।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ