গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ‘গিডিওন চ্যারিওটস’ এখন দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করেছে। বুধবার (২০ আগস্ট) ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন জানান, ইসরায়েলি বাহিনী গাজা সিটির উপকণ্ঠে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
ডেফ্রিন বলেন, সেনাবাহিনীর ৯৯তম ডিভিশন দক্ষিণ-পূর্ব গাজার আল-জাইতুন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি হামাস সুড়ঙ্গ উন্মোচন করেছে। পাশাপাশি সেনারা উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেখানে আগে থেকেই ভারী বোমাবর্ষণ চলছে।
তিনি আরও জানান, সেপ্টেম্বর থেকে অতিরিক্ত ৬০ হাজার রিজার্ভ সেনা ডাকা হয়েছে এবং কয়েকটি ব্যাটালিয়নের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলে নতুন করে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে আল-সাবরা ও আল-জাইতুন এলাকায় এ ধরনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেনাপক্ষ দাবি করছে, অভিযানের মধ্যেও সীমিত আকারে মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক নেতৃত্বের হাতে। আমরা অভিযানের লক্ষ্য পূরণে প্রস্তুত এবং নির্দেশ পেলেই হামাসকে আরও বড় ক্ষতি করতে পারব।
অন্যদিকে হামাস এই নতুন ধাপকে ‘গণহত্যার’ অংশ বলে আখ্যা দিয়েছে। গাজা সিটিতে প্রায় এক মিলিয়ন বাসিন্দা ও উদ্বাস্তুদের ওপর এ হামলা চালিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শান্তি মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করছেন বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। হামাস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইসরায়েল অতীতের মতো এবারও ব্যর্থ হবে।
তারা আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের প্রতি আহ্বান জানায়, যাতে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানো হয়। হামাসের দাবি, এ হামলার উদ্দেশ্য হলো ‘গাজায় জীবনের অবশিষ্টাংশ ধ্বংস করা।’ সংগঠনটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে মানবিক বিপর্যয়ের পূর্ণ দায়ভার বহন করতে হবে বলেও সতর্ক করে।
এদিকে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সতর্ক করে জানায়, নতুন করে উদ্বাস্তু বাড়ানো ও হামলার তীব্রতা এরইমধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে আরও বিপর্যস্ত করতে পারে। বর্তমানে গাজার ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশের আওতায় রয়েছে। সূত্র : শাফাক নিউজ