সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে বেশিরভাগ কূটনৈতিক কর্মীকে ফিরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) ইসরায়েলি নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ সতর্কতা হালনাগাদ করার পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিরাপত্তা সতর্কতায় বলা হয়েছে, বিশেষ করে ইহুদি ছুটির দিন ও শাব্বাত উপলক্ষে আমিরাতে হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
এ পটভূমিতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ইয়োসি আব্রাহাম শেলিকে এরইমধ্যে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর আগে আমিরাত সরকার অভিযোগ করে, আবুধাবির একটি বারে নারীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছিলেন শেলি, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনের শামিল।
এ ছাড়া ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ১২ দিনের হামলার জেরে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা, গাজায় চলমান অভিযান ও আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এ সতর্কতা জারি করা হয়। বহু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে গণহত্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে আমিরাত ও ইসরায়েল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর ২০২২ সালে তারা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করে এবং ব্যবসা ও পর্যটন খাতে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়।
তবে সম্প্রতি সম্পর্কের টানাপড়েন বাড়ছে। আমিরাত সরকার শেলির বিরুদ্ধে তিনটি বিতর্কিত ঘটনার জন্য কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের দাবি, শেলি বারে অমর্যাদাকর আচরণ, নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এবং নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। এই ঘটনার পরপরই কূটনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত স্পষ্টত দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সূত্র: মিডল ইস্ট আই