নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাজার হাজার জনতা রাস্তায় নেমেছে। তারা সরকার পতনের এক দফার দাবিতে বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে মাইজদী বাজার থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলটি জিলাস্কুলের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
আন্দোলনের সময় একদল দুর্বৃত্ত নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে কার্যালয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সবকিছু পুড়ে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফরিদ আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে মাইজদী ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট গিয়ে ৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ণয় করা যায়নি।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু জাগো নিউজকে বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের কিছুই নেই। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ সব আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। এর নিন্দা জানাই।’
সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদুল্লাহ খান সোহেল জাগো নিউজকে বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে জামায়াত-শিবিরের দুষ্কৃতকারীরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন দিয়েছে। আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নোয়াখালী জেলা সমন্বয়কদের একজন নুবায়রা হাফিজ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অহিংস। তবে শনিবার হাজার হাজার জনতা একাত্মতা প্রকাশ করায় এর নিয়ন্ত্রণ কারও হাতে ছিল না। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগে ছাত্রদের কেউ জড়িত নয়।’
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, পুলিশ চরম ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দলীয়ভাবে লিখিত দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইকবাল হোসেন মজনু/এসআর/এএসএম