পূর্ণ মেয়াদে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথমবার লিটন দাসের নেতৃত্বে ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারের মুখ দেখে টাইগাররা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক লিটনও হতাশা লুকোতে পারলেন না।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন বলেছেন, ‘আমি মনে করি আগে ব্যাট করাটা ভালোই হয়েছে। উইকেট দুই দিকেই সাহায্য করেছে। কিছু বল নিচু হয়েছে। আমরা অনেক হতাশ। যেই ভালো ব্যাট করেছে, তারই চালিয়ে যাওয়া দরকার ছিল। আমার মনে হয়েছে এমন উইকেট রান ডিফেন্ড করাটা ভালো ব্যাপারই ছিল, আমাদের বোলিং সাইড ভালো।’
‘তবে আমরা ভালো বল করতে পারিনি। এমন খারাপ দিন যে কোনো ক্রিকেটারের ক্ষেত্রেই আসতে পারে। (রিশাদ হোসেন) সে ভালো বল করেছে। এই উইকেটে যদি আপনি সঠিক জায়গায় বল করতে পারেন তাহলে ব্যাটারের জন্য এডজাস্ট করাটা কঠিন হয়ে যায়।’
পরে সংবাদ সম্মেলনে স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ বলেছেন, ‘(কামব্যাক করা যাবে কিনা?) বিশ্বাস (করতে হবে)। বিশ্বাস করতে হবে এবং স্মার্ট, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। হারের ভয় করা চলবে না। চেষ্টা করে যেতে হবে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে। একটি উদাহরণ দিচ্ছি, স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে আমি কাজ করে যাচ্ছি। রিশাদ (হোসেন), (মেহেদী হাসান) মিরাজদের নিয়ে আমি কাজ করছি।’
‘আজ দেখেছি বাঁ হাতিদের বিরুদ্ধে রাউন্ড দ্যা উইকেটে বল করেছে। এসব ব্যাপার অনুশীলনে করে এসে ম্যাচে প্রয়োগ করছে তারা। ফলে রেজাল্টও এসেছে। ব্যাটিং ইউনিটেও আমাদের ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে। বিশ্বাস রাখতে হবে। আমার উপর বিশ্বাস রাখুন। এই ছেলেদের মাঝে সামর্থ্য রয়েছে, ভালো ক্রিকেট খেলার। শুধু বিশ্বাস রেখে যেতে হবে। ভালো স্কোর পেলে ৩০-৪০ রান পেলে ৭০+ যেতে হবে, তখনই পার্থক্য বুঝা যাবে।’