আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ ছাড় করেছে। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলারে। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।
এর আগে সোমবার আইএমএফের বোর্ড সভায় ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়। এতে চলমান ডলার সংকট ও আমদানি ব্যয়ের চাপে থাকা দেশের অর্থনীতির জন্য তাৎক্ষণিক কিছুটা স্বস্তি এসেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ জুন পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ মানদণ্ডে ছিল ২১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ১৫ জুন রিজার্ভ ছিল ২৬.১৫ বিলিয়ন (গ্রস) ও ২০.৮৬ বিলিয়ন (বিপিএম৬)। ২৭ মে এই রিজার্ভ ছিল যথাক্রমে ২৫.৮০ ও ২০.৫৬ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশের রিজার্ভের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়,
২০১৩ সালের জুনে রিজার্ভ ছিল ১৫.৩২ বিলিয়ন ডলার।
২০১৮ সালে তা দাঁড়ায় ৩৩.৬৮ বিলিয়নে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ পৌঁছে ৩৯ বিলিয়নে এবং
২০২১ সালের আগস্টে তা সর্বোচ্চ ৪৮.০৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
তবে ২০২২ সালের পর থেকে বৈশ্বিক ডলার সংকট, আমদানি ব্যয়ের চাপ এবং অর্থনৈতিক নানা চ্যালেঞ্জের কারণে রিজার্ভ হ্রাস পেতে থাকে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, একটি দেশের জন্য ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয় সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থাকা অত্যাবশ্যক। বর্তমানে বাংলাদেশ সেই সীমার কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে। যদিও পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিরাপদ নয়, তবে আইএমএফের ঋণ ছাড় ও রিজার্ভ বৃদ্ধির এই ধারা অর্থনীতির জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।