ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের চোশিটি গ্রামে মেঘ বিস্ফোরণে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে সেখানে ক্লাউড বার্স্ট বা মেঘ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
কোনো জায়গায় হঠাৎ ভারী মেঘ জমে খুবই অল্প সময়ের মধ্যে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলে সেটিকে ‘মেঘ বিস্ফোরণ’ বলা হয়। এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। মেঘ বিস্ফোরণ হলে আক্রান্ত স্থানে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়। যেটির পানি নিম্নাঞ্চলের সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে ৩৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি দুইশরও বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আহত অবস্থায় হাসপাতালে আরও ৩০ জনকে আনা হয়েছে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা এপিকে ৩৪ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এ সংখ্যা বাড়তে পারে।
জম্মু কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “সেখানকার খবর মর্মান্তিক।” তিনি জানিয়েছেন, মেঘ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে কিস্তওয়ার বিভাগে।
কিস্তওয়ারের একটি হাসপাতালে অনেকে জড়ো হয়েছেন। সেখানে হতাহতদের আনা হচ্ছে।
কিস্তওয়ারে বিভাগীয় কমিশনার পঙ্কজ কুমার শর্মা এএফপিকে বলেছেন, “আমরা ৩৪টি মরদেহ পেয়েছি এবং ৩৫ জনকে উদ্ধার করেছি। আরও মরদেহ পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।”
সুশীল কুমার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি হাসপাতালে অন্তত ১৫টি মরদেহ নিয়ে যেতে দেখেছেন।
অঞ্চলটি দুর্গম হওয়ায় উদ্ধারকারীর ব্যাপক সমস্যায় পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত কয়েকদিনের ঝড়ে এমনিতেই রাস্তাঘাট খারাপ হয়েছিল। যেখানে ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে রাজধানী শ্রীনগরের দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূর।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় সব সাহায্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এরআগে গত ৫ আগস্ট দেশটির উত্তরাখণ্ডের হিমালয় শহর ধারালিতে মেঘ বিস্ফোরণে একইরকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেখানে অন্তত ৭০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হয়। যদিও দেশটির সরকার এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের সংখ্যা জানায়নি।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, এএফপি