Monday, December 23, 2024
প্রধান পাতাআন্তর্জাতিকমণিপুরের সশস্ত্রগোষ্ঠীর হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র; কতটা শক্তিশালী তারা?

মণিপুরের সশস্ত্রগোষ্ঠীর হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র; কতটা শক্তিশালী তারা?

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে প্রায় ৪০টি সশস্ত্র সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। এর মধ্যে মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন এবং কুকি জাতিগোষ্ঠীর ১০টি সামরিক সংগঠন উল্লেখযোগ্য। সাম্প্রতিক গোষ্ঠীগত সংঘাতে রকেট হামলা এবং অন্যান্য সহিংস কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এই সংগঠনগুলোর সামরিক সক্ষমতা আরও স্পষ্ট হয়েছে।

ছয় মাস আগে মনিপুরে নিয়মিত টহলের সময় ভারতীয় সামরিক বাহিনীর একটি গাড়ি বহর বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর আক্রমণের শিকার হয়। বিদ্রোহীরা প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে এবং পরে সামরিক বহরের দিকে রকেট তাক করে। শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহীদের পিছু হটতে হয়। মনিপুরের কুকি ও মেইতেই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘাত এখনো চলছে, যা রাজ্যটিকে ক্রমাগত উত্তপ্ত করে তুলছে।

মণিপুরে কুকি ও মেইতেই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সংঘাত চললেও সাম্প্রতিক রকেট হামলার পর তাদের সামরিক শক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে বিদ্রোহীরা ভারতীয় সামরিক বাহিনীর গাড়িবহরকে আক্রমণ করে, তবে শেষ পর্যন্ত পিছু হটতে বাধ্য হয়। মণিপুরে মেইতেই, কুকি, নাগা, ও জমি জাতিগোষ্ঠীর বেশ কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে। কুকিদের সামরিক শক্তি সবচেয়ে বেশি। ইউএনএলপি ও পিএলএ মেইতেইদের বড় সংগঠন, আর কুকি ন্যাশনাল আর্মি ও কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট মিয়ানমার ভিত্তিক, যাদের সদস্য সংখ্যা ৪ থেকে ১০ হাজার।

কুকি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অধিকাংশই মিয়ানমারে পরিচালিত হয়। এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) এবং কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) অন্যতম, যাদের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪,০০০ থেকে ৬,০০০। এসব সশস্ত্র সংগঠনের হাতে রয়েছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, যেমন একে-৪৭, এম-১৬, এবং জি-৩সহ বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। এছাড়া, গোপন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতেও তাদের কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ