বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন জানান, পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে টাস্ক ফোর্স গঠনের পরদিনই দুদকে আসে এফবিআই-এর একটি প্রতিনিধি দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন রবার্ট ক্যামেরুন। প্রতিনিধি দলটি দুদকের মানি লন্ডারিং শাখার মহাপরিচালকের সাথে বৈঠক করে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা জিএফআই-এর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, যার বেশিরভাগই সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, কেম্যান আইল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, বারমুডা, জার্সি, হংকং, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশে গেছে।
দুদক সচিব জানান, বিভিন্ন দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে অনেক দেশের সাথে যোগাযোগ শুরু হয়েছে এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। নতুন মেকানিজম উন্নয়নের চিন্তাভাবনা চলছে এবং প্রয়োজনে বিদেশি সহযোগিতাও নেয়া হবে।
দুদক সচিব আরও জানান, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু প্রক্রিয়াটি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, তাই কিছুটা সময়ক্ষেপণ হয়। তবুও অর্থপাচার ঠেকাতে দুদক নিরলসভাবে কাজ করছে।